সূর্যোদয়ের দেশে

প্রকাশকালঃ ২০১৫
প্রকাশনা সংস্থাঃ আরিক প্রকাশনা
প্রকাশকঃ মো. মঈনুল ইসলাম

5/5

by নিশাত ইসলাম

সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের অনুবাদকৃত জাপানী কবিতা
‘চিত্তহারিণী জাপানী বালিকা ওহারু তার নাম
বুকে তার চেরী ফুলের স্তবক রক্তিম অভিরাম
জানুপাতি বালা পতিব মাগে…’
কেন জানি মনে একটা দৃঢ় ছাপ রেখেছিল সেই ছোট্ট বেলাতেই। জাপানকে সূর্যোদয়ের দেশ বলা হয় কেন, কাঠ ও কাগজ দিয়ে ঘর বানিয়ে কোন দেশের লোকেরা বসবাস করে ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করতে করতে ছেলেবেলাতেই ভাবতাম এটাও কি সম্ভব কাগজের ঘরে বাস করা? ওদের দেশে কি কালবৈশাখী ঝড় ঝঞ্জাও নেই? এমন কত প্রশ্ন উঁকি-ঝুঁকি দিত মনে। একদিন সত্যি হয়ে দেখা দিল সেই কাগজের ঘর-বাড়ির দেশে যাওয়ার সুযোগ।
জাপান যেতে হলে থাইল্যান্ড তো দেখাই হবে। সাওরাদি দুহাত তুলে নমস্কারের ভঙ্গীতে থাইল্যান্ডে বিদেশীদের স্বাগত জানানো হয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সকল প্রকার আকর্ষণের লীলাভূমি এই থাইল্যান্ড, এখানে আছে বিখ্যাত প্রাচীন নিদর্শন থেকে শুরু করে আধুনিক আরামদায়ক বস্তুরাজি।
হবে যাত্রা বিরতি। যাচ্ছি সেই স্বপ্নের দেবতাপুরী ব্যাংককে। ব্যাংককের রাতের সৌন্দর্যের দেখার পর রওনা হলাম টোকিও এর উদ্দেশ্যে। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভুমি মধ্য জাপানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে না ধরলে আমাদের ভ্রমণ বিবরণ সম্পূর্ণ হবে না। হাজারো দ্বীপমালার এ দেশের চারদিক ঘিরে রয়েছে সমুদ্র। জাপানের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় জুড়ে রয়েছে মেইজী পুণরুদ্ধার বা বিপ্লব। ১৯৬৮ সালে সংগঠিত এই বিপ্লবের ফলে বহুধা বিভক্ত জাপান এক কেন্দ্রীভূত শাসনাধীনে আসে এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন বিপ্লবী নেতাদের তড়িৎ সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণের ফলশ্রুতিতেই আজকের আধুনিক শিল্পোন্নত জাপানের সুত্রপাত হয় এটি নিঃসন্দেহে বলা চলে।
সামন্ততান্ত্রিক যুগের প্রায় আড়াইশত বছর কাল বহিঃবিশ্বের সাথে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখা হয়েছিল জাপানকে। সুদীর্ঘকাল বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেশকে রাখার ফলে নিজস্ব সংস্কৃত, কৃষি, শিল্প-কলা, সাহিত্য এবং একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে উঠেছিল। কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অস্থিরতা দেখা যায়। এদেশে অবস্থিত শোগুণের প্রশাসনিক শক্ত বাঁধনে আস্তে আস্তে আলগা হতে থাকে। জাপানে ৬ মাস অবস্থানকালে দেখেছি জাপানের দর্শনীস্থান। তার কিছুটা তুলে ধরা আমার ভ্রমণ কাহিণী ‘সূর্যোদয়ের দেশে’।

বইটি ক্রয় করতে এখানে Click করুন।